কারেন্ট অ্যাকাউন্ট হলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত একটি আমানত হিসাব, যা মূলত ব্যবসায়িক লেনদেন এবং নিয়মিত আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে খোলা যেতে পারে। কারেন্ট অ্যাকাউন্টকে চলতি হিসাব বা চেকিং অ্যাকাউন্ট নামেও ডাকা হয়।
**কারেন্ট অ্যাকাউন্টের সুবিধা:**
* **সীমাহীন লেনদেন:** কারেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনি দৈনন্দিন লেনদেন যেমন চেক ইস্যু, ডেবিট কার্ড ব্যবহার, অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম ব্যবহার, নগদ জমা এবং উত্তোলন ইত্যাদি সীমাহীনভাবে করতে পারেন।
* **ওভারড্রাফ্ট সুবিধা:** অনেক কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ওভারড্রাফ্ট সুবিধা থাকে, যার মাধ্যমে আপনি অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স না থাকলেও একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত অর্থ উত্তোলন করতে পারেন।
* **ব্যবসায়িক সুবিধা:** কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য আদর্শ, কারণ এটি বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট সমাধান, যেমন চেক, ডিমান্ড ড্রাফ্ট, অনলাইন ট্রান্সফার ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করে।
* **অনলাইন ব্যাংকিং:** কারেন্ট অ্যাকাউন্টধারীরা অনলাইন ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন।
* **আন্তর্জাতিক লেনদেন:** অনেক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুবিধা প্রদান করে।
**কারেন্ট অ্যাকাউন্টের অসুবিধা:**
* **সুদের অভাব:** কারেন্ট অ্যাকাউন্টে সাধারণত কোনো সুদ প্রদান করা হয় না।
* **সার্ভিস চার্জ:** ব্যাংক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ নিয়ে থাকে, যেমন মাসিক ফি, এসএমএস চার্জ, চেক বইয়ের চার্জ ইত্যাদি।
* **ন্যূনতম ব্যালেন্স:** কিছু কারেন্ট অ্যাকাউন্টে একটি ন্যূনতম ব্যালেন্স বজায় রাখতে হয়, অন্যথায় জরিমানা দিতে হতে পারে।
**বাংলাদেশে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট:**
বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংকই কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সেবা প্রদান করে। কিছু জনপ্রিয় কারেন্ট অ্যাকাউন্ট হলো:
* **ডাচ্ বাংলা ব্যাংক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট**
* **ব্র্যাক ব্যাংক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট**
* **সিটি ব্যাংক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট**
* **স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক কারেন্ট অ্যাকাউন্ট**
**বিশেষ দ্রষ্টব্য:** কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বিভিন্ন ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ, ন্যূনতম ব্যালেন্সের শর্ত, অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এবং নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক অ্যাকাউন্টটি বাছাই করুন।