প্রিপেইড কার্ড এক ধরনের প্লাস্টিক কার্ড যা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মতোই দেখতে এবং কাজ করে। তবে এর সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো, ব্যবহারের আগে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কার্ডে লোড করে নিতে হবে। অর্থাৎ, কার্ডে যত টাকা থাকবে, আপনি শুধুমাত্র তত টাকা পর্যন্তই খরচ করতে পারবেন।
**প্রিপেইড কার্ডের সুবিধা:**
* **ঋণের ঝুঁকি নেই:** ক্রেডিট কার্ডের মতো এখানে ঋণের কোনো ঝুঁকি নেই। কারণ, আপনি আগে থেকে টাকা লোড করার পরেই কার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
* **বাজেট নিয়ন্ত্রণ:** বাজেটের মধ্যে থেকে খরচ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। কারণ, আপনি শুধুমাত্র কার্ডে থাকা টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন।
* **ব্যাংক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন নেই:** প্রিপেইড কার্ড নিতে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়ে না।
* **সহজ লেনদেন:** দোকান, রেস্তোরাঁ, অনলাইনে যেকোনো জায়গায় সহজেই লেনদেন করা যায়।
* **নিরাপদ:** নগদ টাকা বহন করার ঝুঁকি এড়ানো যায়।
* **বিভিন্ন ধরনের কার্ড:** ভ্রমণ, উপহার, বেতন প্রদান ইত্যাদি বিভিন্ন কাজের জন্য আলাদা আলাদা প্রিপেইড কার্ড পাওয়া যায়।
**প্রিপেইড কার্ডের অসুবিধা:**
* **লোডিং ফি:** অনেক কার্ডে টাকা লোড করার জন্য ফি প্রযোজ্য হয়।
* **ব্যালেন্স চেকের ঝামেলা:** কার্ডের ব্যালেন্স চেক করা কিছুটা ঝামেলার হতে পারে।
* **সকল স্থানে গ্রহণযোগ্যতা নয়:** কিছু কিছু দোকান বা প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড কার্ড গ্রহণ নাও করতে পারে।
**বাংলাদেশে প্রিপেইড কার্ড:**
বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের প্রিপেইড কার্ড প্রদান করে থাকে। কিছু জনপ্রিয় প্রিপেইড কার্ড হলো:
* **ডাচ্ বাংলা ব্যাংক নেক্সাস প্রিপেইড কার্ড**
* **মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক প্রিপেইড কার্ড**
* **ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক প্রিপেইড কার্ড**
* **উপায় প্রিপেইড কার্ড**
প্রিপেইড কার্ডের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জেনে, নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী কার্ড বাছাই করে আপনি এর সুবিধা নিতে পারেন।
**বিশেষ দ্রষ্টব্য:** প্রিপেইড কার্ড নেওয়ার আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্ডের সুবিধা, ফি, শর্তাবলী ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন এবং নিজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কার্ডটি বাছাই করুন।